পঞ্চমবর্ষে ছোট ছবির বড় উৎসব, IKSFF
সোমনাথ লাহা
আজকের ছোট্ট চারাগাছ আগামীর মহীরুহ। ছোট ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় বৃহৎ রূপকল্প। গতিশীল জীবনে যখন সময়ের বড়ই অভাব, তখন বিনোদনের উপাদান হওয়ার পাশাপাশি ভাবনার রসদ সরবরাহ করে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শর্ট ফিল্মের বিষয়বস্তু রীতিমতো পরিশীলিত হয়ে উঠেছে। সেই কারণেই বহু সংখ্যক দর্শকের কাছে আজ রীতিমতো গ্রহণযোগ্য, শর্ট ফিল্ম।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের রেশ কাটার আগেই শুরু হতে চলেছে আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। নতুন বছরের প্রথম মাসেই চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য বিষয়ভাবনা ও বৈচিত্র্যময়তার ছোঁয়া নিয়ে উপস্থিত বোরোলিন নিবেদিত ইভেন্টাইজার আয়োজিত আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (IKSFF)। এটি এক অর্থে ছোট ছবির বড় উৎসব। যেটির পুরোভাগে রয়েছেন সৌরভ চক্রবর্তী এবং শাশ্বতী গুহ চক্রবর্তী।
পায়ে পায়ে পথ চলে এবার পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করল উৎসব। চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষজনের ভালবাসায় পরিপূর্ণ এবারের উৎসব হতে চলেছে ছ’দিনের। আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। প্রসঙ্গত, সিনেমা যখন উৎসব হিসেবে পরিগণিত হয় তখনই শিল্প তথা শিল্পী জীবনের সার্থকতা।
এবারেও ফিজিক্যাল এবং অনলাইন স্ক্রিনিং, দু’ধরণের ফরম্যাটেই ছবি দেখতে পারবেন দর্শক ও সিনেপ্রেমীরা। অনলাইনে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারি বিকেল ৫টা থেকে ছবি দেখা যাবে www.efilmzone.com ওয়েবসাইটে। দর্শকরা সহজেই IKSFF25 কোডের সাহায্যে ছবিগুলি দেখতে পারবেন। ফিজিক্যাল স্ক্রিনিং হবে ২১ ও ২২ জানুয়ারি অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি (বারাসাত) এবং বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ (পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ) -এ। পাশাপাশি ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি কলকাতার রোটারি সদনে ছবি দেখতে পাবেন দর্শকরা।
এবারের উৎসবের মূল আকর্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম ফিল্ম স্টাডিজের অধ্যাপক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের ‘কিভাবে একটি সিনেমা দেখতে হয়’ বিষয়ক মাস্টারক্লাস। এটি হবে বারাসাতের অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটিতে। এছাড়াও রয়েছে দুটি সেমিনার। যার মধ্যে একটি হল ‘রিল থেকে বাস্তব : কিভাবে সিনেমা নারীর ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিয়ে যায়’। অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে যোগ দেবেন সুদর্শন চক্রবর্তী, অর্জুন দত্ত, অপরাজিতা ঘোষ ও ডঃ দিব্যেন্দু কুমার রায়। অপর সেমিনারটি হল ‘স্ক্রিন থেকে সবুজে: সিনেমার প্রভাব পরিবেশ সচেতনতার উপর’। এই সেমিনারে বলবেন চিত্রপরিচালক সুমন মৈত্র, পার্থ চক্রবর্তী ও অধ্যাপক পুনর্বসু চৌধুরী। দুটি সেমিনারের সঞ্চালনায় রয়েছেন প্রযোজক অনিমেষ গঙ্গোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাতা-নির্দেশকদের কাছে ভীষণভাবে প্রশংসা অর্জন করেছে এই শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। তাঁরা রীতিমতো আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এই উৎসবকে নিয়ে। এবারের উৎসবে ৩০ টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২৫০ টিরও বেশি ছোট ছবি, তথ্যচিত্র, কমার্শিয়াল, মিউজিক ভিডিও জমা পড়েছে। এবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানির পাশাপাশি সুইজারল্যান্ড, ঘানা, বুলগেরিয়া, তাইওয়ান, চীন, নরওয়ের মতো দেশগুলি থেকে আসা ছবিগুলোর থেকে বাছাই করে মোট ২০০ টি ছবি দেখানো হবে। এর মধ্যে মনোনীত ছবির সংখ্যা ১০০। পুরস্কৃত করা হবে ৩০ টি ছবিকে। এবারে অনেক বেশি সংখ্যক ছবির অংশগ্রহণ করার কারণে উৎসবের দিন সংখ্যা বাড়িয়েছেন উদ্যোক্তারা।
এবার উৎসবে একটি নতুন বিভাগ সংযোজন করেছেন আয়োজকরা। সেটি হল লং শর্ট ফিল্ম (সময়সীমা ৪৫ মিনিটের মধ্যে)। এছাড়া রয়েছে শর্ট ফিল্ম (সময়সীমা ৩০ মিনিটের মধ্যে), তথ্যচিত্র, মিউজিক ভিডিও, পিএসএ (পাবলিক সার্ভিস অ্যানাউন্সমেন্ট), বিজ্ঞাপনী ছবি। সবমিলিয়ে মোট ছ’টি ক্যাটেগরি রয়েছে।
সম্প্রতি কলকাতার রোটারি সদনে ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ফেস্টিভ্যাল চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী, ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর শাশ্বতী গুহ চক্রবর্তী সহ ফিল্ম স্টাডিজের অধ্যাপক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, পরিচালক অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন মৈত্র, মানস বসু, পার্থ চক্রবর্তী, অভিনেতা-নাট্যব্যক্তিত্ব ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী জয়া শীল ঘোষ, অভিনেতা-পরিচালক অশোক রায়, অভিনেতা রাণা বসু ঠাকুর, প্রযোজক অনিমেষ গঙ্গোপাধ্যায়, পরিচালক-গায়ক সন্দীপন রায়, সংগীত পরিচালক নবারুণ বোস সহ অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মধুমিতা দে দাস ও অন্যান্য বিশিষ্ট মানুষজন।
এবারের উৎসবে জুরির তালিকাও এদিন প্রকাশ করা হয়। আইকেএসএফএফ -এর জুরি বোর্ডে রয়েছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সম্পাদক অর্ঘ্যকমল মিত্র, ডঃ মোহন দাস, ইরানের চিত্রপরিচালক সানা নরোজবেইগি, আইডিপিত্র-র প্রাক্তন অধ্যক্ষ রজনী আচার্য, তাইওয়ানের চলচ্চিত্র পরিচালক শিহিউন ওয়াং, বাংলাদেশের চিত্রপরিচালক আশরাফ শিশির, অভিনেত্রী জয়া শীল ঘোষ, সংগীত পরিচালক নবারুণ বোস, চিত্রপরিচালক-গায়ক সন্দীপন রায় এবং লেখক ও চিত্রপরিচালক ডঃ অনুষা শ্রীনিবাসন আইয়ার।
এবারের আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বিভিন্ন ধরণের ছবি দ্বারা সুসজ্জিত। সেই তালিকায় রয়েছে ছোটদের ছবি, এলজিবিটিকিউ ফিল্ম, নারীকেন্দ্রিক ছবি সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তথা বিশ্বব্যাপী সমস্যাকে কেন্দ্র করে তৈরি ছবি। উদ্বোধনী ছবি হিসেবে দেখানো হবে ‘কাশ (ইফ অনলি)’ ছবিটি। একটি শিশুর জীবনে কোভিড পরিস্থিতির গভীর ফলাফলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে এই ছবির কাহিনি।
এই বছরের উৎসবে উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে পানামার ছবি ‘রোবোফনা’, সুইজারল্যান্ডের ছবি ‘বেলা মিয়া’, ঘানা থেকে আসা ছবি ‘ওয়েটিং’ এবং ‘ডোন্ট কল মি বিউটিফুল’, তাইওয়ানের ছবি ‘সাইড এ: সামার স্টোরি’, নরওয়ের থেকে ‘দ্য টেররিস্ট’, বুলগেরিয়ার ‘কালার মি হ্যাপি’, চীন থেকে আসা ছবির ‘অন দ্য পিলো টু দ্য মুন’ সহ অন্যান্য দেশের থেকে আসা কয়েকটি ছবি।
ভারতেরও বেশ কিছু ছবি রয়েছে এবারের উৎসবে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘আম আঁটির পাঁচালি’, লিলেট দুবে অভিনীত ‘দ্য লাইম গ্রিন শার্ট’, রত্না পাঠক শাহ এবং রজিত কাপুর অভিনীত ‘আ নাইট আফটার অল’, সঞ্জয় মিশ্র অভিনীত ‘ত্বমেব স্বর্বম্’, অনুরাধা মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘এ পিনচ অফ সল্ট’ সহ আরও অনেক স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। এছাড়াও নন কম্পিটিশন জোনে রয়েছে মানস বসু পরিচালিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত শর্ট ফিল্ম ‘অরোরা বোরিয়ালিস’। রয়েছে পরিচালক সুমন মৈত্রের নির্বাক ছোট ছবি ‘নিঃশব্দ’। সংগীত পরিচালক নবারুণ বোস ও প্রাঞ্জল দাসের মিউজ়িক ভিডিও ‘বিপ্লব’। অভিনেত্রী মনামী ঘোষের দুটি মিউজিক ভিডিও ‘আইলো ঊমা বাড়িতে’ এবং ‘ভিটামিন এম’। এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু চমক। এবছর মুক্তিপ্রাপ্ত বেশ কয়েকটি সিনেমা ও ওয়েব সিরিজের ট্রেলার এবং টিজ়ার-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে এই শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।

ফেস্টিভ্যাল চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর কথায়, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত পঞ্চম আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের চেয়ারম্যান হিসেবে আপনাদের সকলকে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাতে পেরে। শর্ট ফিল্ম ভবিষ্যতের মাধ্যম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই উৎসব অভিজ্ঞ চলচ্চিত্র পরিচালক ও নবীন প্রতিভাসম্পন্নদের কাজকে একত্রিত করে একটি অনন্য প্রাণবন্ত স্থান তৈরি করেছে। অন্যান্য চলচ্চিত্র উৎসবে ছবি সিলেক্টেড হলেও অনেক সময় স্ক্রিনিং করানো হয় না। কিন্তু আমরা সিলেক্টেড প্রতিটি ছবিকে স্ক্রিনিং করানোর চেষ্টা করি।”
ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর শাশ্বতী গুহ চক্রবর্তীর মতে, “খুব ছোট ছোট এই সিনেমাগুলো বিষয়ভাবনার দিক থেকে অভিনবত্বে ঘেরা। এদের সেরকম স্টারকাস্ট নেই। তাদের সেরকম যোগাযোগও নেই। এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। কারণ এদের দেখানোর যথোপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম নেই। পাঁচমিনিট, দশমিনিটের ছবি তো সিনেমাহলে দেখানো হয় না। এইসব ছবিগুলোকে বাঁচানোর জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ছাড়া উপায় নেই। দর্শকদের তাই বলবো এই ছবিগুলো দেখুন।”
অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শর্ট ফিল্ম এখন নতুন ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে। প্রত্যেকটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র আসলে একটি ছোট্ট ধারণা থেকেই শুরু হয়। তারপর সেটি কখনও একটি শর্ট ফিল্ম বা একটি ফিচার ফিল্মের রূপ পায়। আমি মনে করি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিকে সমর্থন করা উচিত। কারণ এর ফলে যারা নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারা নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পেতে পারে। আমরাও এই সমস্ত তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। তাই এই ধরণের উৎসবকে অবশ্যই প্রশংসা করার পাশাপাশি সমর্থন করা উচিত।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুমন মৈত্র জানান, “আমি আগের বছর অতিথি হিসেবে এসেছিলাম। ভীষণ ভাল লেগেছিল। এবার এই উৎসবের সঙ্গে জড়িত থাকতে পেরে ভীষণ ভাল লাগছে। ছোট ছবি করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। আমার নির্বাক ছবি ‘নিঃশব্দ’ এবার এই উৎসবের অংশ। ১০ বছর ধরে এই ছবিটি বানিয়েছি। ছবির বিষয় সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ হওয়া নিয়ে। ছবিতে দু’জন মুখ্য অভিনেতা ও একটি সাইকেল এই হল চরিত্র। গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে সিঙ্গল স্ক্রিনের অবস্থা নিজে চোখে দেখে, আরও ভাল করে বললে গ্রামে মানুষ কিভাবে ছবি দেখে সেই ভাবনা থেকেই এই ছবির নির্মাণ করেছি।”
জয়া শীল ঘোষের মন্তব্য, “প্রথম বছর থেকেই আমি এই উৎসবের সঙ্গে রয়েছি। ভীষণ ভাল লাগে। সৌরভ-শাশ্বতী ওরা দু’জনেই এই বিষয়ে এতটাই দায়িত্ব সহকারে জড়িয়ে থাকে সেটা দেখে আরও ভাল লাগে। আমি জুরি বোর্ডে থাকার জন্য খুব মন দিয়ে ছবিগুলো দেখেছি। এত ভাল বিষয়ভাবনা, এত সুন্দর কোয়ালিটির এক একটি ছবি যে আমার মনে হয় সকলের এই ছবিগুলো দেখা উচিত।”
ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি গত দু’বছর ধরে এই উৎসবে আসছি। আমাকে ভীষণরকম ভাবে এদের আন্তরিকতা আকৃষ্ট করেছে। ওরা যে কাজটা শুরু করেছে, বড় ছবির পর ছোট ছবির উৎসব। কোথাও গিয়ে মনে হচ্ছে ছোট ছবি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি ছোট ছবির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে ছোট গল্পের। ঐ সেই শেষ হয়েও হইল না শেষ। মানুষের হাতে এখন সময় বড়ই কম। তাই ছোট ছবি সে সহজেই দেখে নিতে পারে। ছোট ছবির মান ক্রমশই বাড়ছে। এই ধরণের উৎসবের সেখানে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।”
এবছর আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কারের সংখ্যাও গতবারের তুলনায় বেশি রয়েছে। পুরস্কারের বিভাগগুলি হল সেরা শর্ট ফিল্ম, সেরা লং শর্ট ফিল্ম, সেরা সম্পাদক, সেরা পরিচালক, সেরা অ্যানিমেশন শর্ট ফিল্ম, সেরা শিশু অভিনেতা, সেরা কমার্শিয়াল, সেরা অভিনেতা, সেরা কনসেপ্ট, সেরা মিউজিক ভিডিও সহ আরও অনেক ক্যাটেগরি।
এছাড়াও অন্যান্য পুরস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, প্রয়াত জীবন গুহ মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড, আইকেএসএফএফ বেঙ্গল সিনে আইকন অ্যাওয়ার্ড, দ্য লাইফলাইন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড এবং আইকেএসএফএফ গোল্ডেন ভয়েস অ্যাওয়ার্ডের মতো পুরস্কার।