বাংলা ছবির নতুন অধ্যায় ‘দেবী চৌধুরানী’র হাত ধরে
বাংলা ছবি প্রযোজনার জগতে এক নতুন অধ্যায়ের শুরু হতে চলেছে। সৌজন্যে ‘দেবী চৌধুরানী’। ভারত এবং যুক্তরাজ্য (Indo-UK) যৌথ প্রযোজনায় প্রথম বাংলা ছবি হতে চলেছে শুভ্রজিৎ মিত্রের এই ছবি।
বাংলা ছবির বিশ্বের আঙিনায় আরও বেশি ঠাঁই করে নেওয়ার পথে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হিসেবেই থেকে যাবে এই ছবি। ‘দেবী চৌধুরানী’ প্রযোজনা করতে চলেছেন LOK আর্টস কালেকটিভ (ভারত/যুক্তরাজ্য) এর সৌম্যজিৎ মজুমদারের সঙ্গে এডিটেড মোশন পিকচার্স (যুক্তরাষ্ট্র/ভারত) এর অপর্ণা এবং অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত।
জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী বাংলা ছবি ‘অভিযাত্রিক’ এর পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসকেই চলচ্চিত্ররূপ দিয়েছেন। এর আগেও এই উপন্যাস চিত্রায়িত হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনির্বাণের নিবেদনে আসছে ‘মানিকবাবুর মেঘ’
এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের মধ্যে রয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Ministry of Information & Broadcasting), এনএফডিসি (National Film Development Corporation) ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন), এফএফও (Film Facilitation Office), ইনভেস্ট ইন্ডিয়া (Invest India), ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট (British Film Institute – BFI) এবং ডিসিএমএস (সংস্কৃতি বিভাগ, মিডিয়া এবং ক্রীড়া) যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা।
এই ছবিতে অন্যতম মুখ্য চরিত্র ‘ভবানী পাঠক’ এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দ্বিপাক্ষিক এই মেলবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অ্যাডিটেড মোশন পিকচার্স এবং এলওকে আর্টস কালেক্টিভ প্রযোজিত শুভ্রজিৎ মিত্রের ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবির একটি প্রধান চরিত্র হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, NFDC, FFO এবং Invest India এবং BFI, DCMS যেভাবে একটা আঞ্চলিক ছবির জন্য নতুন পথ তৈরি করল তাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রচার ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই উদ্যোগকে আমি শুভেচ্ছা জানাই”।
শুভ্রজিৎ বলেন, “অনিরুদ্ধ, অপর্ণা, প্রযোজক জুটি এবং সহ-প্রযোজক সৌম্যর সঙ্গে কাজ করা সৌভাগ্যের বিষয়। তাঁদের চেষ্টায় বিশ্বের বাজারে বাংলা ছবির প্রচার ও প্রসার এককথায় গেম চেঞ্জার পদক্ষেপ। এরপরে বাংলা ছবির সঙ্গে যুক্ত সকলেই নিজেদের স্বপ্ন বড় করার সাহস দেখাবে। এডিটেড মোশন পিকচার্স এবং এলওকে আর্টস ক্রিয়েটিভ এবং দুই দেশের সংশ্লিষ্ট সমস্ত সংস্থাকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি”।
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিক ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ছবি হলেও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্রযোজনা সংক্রান্ত গাঁটছড়া এই প্রথম।