আদর্শ রক্ষায় অতন্দ্র এক সৈনিককে স্যালুট: ঋতুপর্ণা

Share It

নিজের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে সকাল ৮.২০ মিনিটে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ বয়স হয়েছিল ৮০ বছর৷ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর দেন সুচেতন ভট্টাচার্য। আক্ষরিক অর্থেই একটা যুগের অবসান। একটা ঘড়ির বন্ধ হয়ে যাওয়া।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, “আজ খুব মনে পড়ছে আমার বিয়ের দিনের কথা। তখন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। উনি এবং বুদ্ধদেব বাবু এসেছিলেন। আমাকে আশীর্বাদ করে গিয়েছিলেন। যদিও অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আমি একদিন হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছিলাম।”

বুদ্ধবাবুর চলে যাওয়া গভীরভাবে ছুঁয়েছে অভিনেত্রীকে। তাঁর কথায়, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তো কেবলই একজন রাজনৈতিক স্টলওয়ার্ট নন। একজন বিরল মানুষ। একজন স্তম্ভ। আজ চলে গেলেন। কিন্তু ওঁর শিক্ষা, আদর্শ, ত্যাগ, মানসিকতা দিয়ে আমাদের সমাজকে উর্বর করে গেলেন। এও কি কম নাকি?”

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে শ্রদ্ধাভাজন থেকেছেন আমৃত্যু। তাই হয়ত ঋতুপর্ণা বলেন, “ওঁর মত একজন শিক্ষিত এবং ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ আমাদের সমাজে যে অবদান রেখে গেলেন, যে সম্যগদর্শন, যে পরিজ্ঞান সেও তো এক বিরাট সম্পদ।”

সংস্কৃতিমনস্ক এই মানুষটি অনুপ্রাণিত করেছেন একাধিক প্রজন্মকে। “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁর প্রজ্ঞায় ছিলেন অটল। আদর্শের রক্ষায় তিনি অতন্দ্র এক সৈনিক। নিজেকে উদাহরণ হিসেবে প্রস্তুত করা একজন মানুষকে আজ স্যালুট জানাই। আপনাকে আমরা সবসময়ই মনে রাখব এক বিরল মানুষ হিসেবে যিনি অনুপ্রাণিত করেছেন আমৃত্যু”, বলেন শোকার্ত ঋতুপর্ণা।

প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরিবারের সকলকে সমবেদনাও জানান অভিনেত্রী।

Loading


Share It