Exclusive: মেগা দিয়েছে কনফিডেন্স, কাঁটায় কাঁটায় চ্যালেঞ্জ নিলেন জয়দীপ

Share It

অতনু রায়

২০২৩ সালের শুরুতেই একদম তৈরি হয়ে যাওয়া একটা প্রজেক্ট নিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষা করেছে গোটা টিম। কথায় আছে, সবুরে মেওয়া ফলে। সেইভাবেই সিরিজের টিজার প্রকাশ্যে আসতেই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রত্যেকের কৌতুহল, কবে থেকে দেখা যাবে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের নতুন সিরিজ ‘কাঁটায় কাঁটায়’?

জয়দীপের পরিচালনায় বরাবর একটু সমান্তরাল ছবির ধারার ছোঁয়া থাকে এবং একইসঙ্গে সেটা মূলধারাকে ছেড়ে বেরিয়ে যায় না। এই কারণে ইন্ডাস্ট্রির প্রযোজক-অভিনেতা তো বটেই, পরিচালকদের কাছেও খুব প্রিয় তিনি। ‘মাস’ আর ‘ক্লাস’, দুইয়েরই প্রিয় হয়ে ওঠার রহস্য ‘দ্য কাউন্টার কালচার’ জানতে চেয়েছিল পরিচালকের কাছে। তাঁর উত্তর, “আমি যাঁদের কাছে কাজ শিখেছি, যাঁদের কাজ সামনে থেকে দেখেছি বা যাঁদের সহকারী হিসেবে কাজ করেছি, তাঁদের প্রত্যেককেই দেখেছি যে ফ্লোরে আর্টিস্টকে কতটা কমফোর্ট দেওয়া যায়, তাঁদের সঙ্গে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ জায়গা রেখে কিভাবে কাজ করা যায়, মানুষকে সম্মান দিয়ে, ভালবাসা দিয়ে কাজটা করে কিভাবে কমফোর্ট জোন তৈরি হয় সেসবে নজর দিতে। কিভাবে কাজ করলে তাঁরা সহজে বুঝতে পারবে আমি কী চাইছি এগুলো মাথায় রাখার চেষ্টা করেছি”।

কিন্তু প্রভাত রায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সন্দীপ রায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং দেবাংশু সেনগুপ্ত-এর সহকারী হিসেবে কাজ করলে কিছু সমস্যাও তো হতেই পারে। কারণ, এঁদের প্রত্যেকের কাজের ধরণ তো সম্পূর্ণ আলাদা! সহকারীর অভিযোজন তো ‘হারকিউলিয়ান টাস্ক’? জয়দীপের উত্তর, “প্রত্যেকটা মানুষের ভাল বা পজিটিভ ব্যাপারটাকে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর যে ব্যাপারটা হয়ত ততটা পজিটিভ নয় সেই ব্যাপারটাকে দূরে রেখেছি। আসলে এইটা অনেকের মেলানো একটা জিনিস। আমি দেখেছি তাঁরা কিভাবে কাজটা করেন, কিভাবে কথা বলেন। কোন কথাটা কেমন ভাবে বললে খুব টেনশনের মুহূর্তকেও হালকা করে দেওয়া যায়। আমার কাছে ফ্লোর ম্যানেজমেন্ট ব্যাপারটার মেন্টর এঁরা”।

জয়দীপের ফ্লোর কেমন থাকে? পরিচালক জানালেন, “শুধুমাত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী নয়, পুরো ইউনিটেরই তো একটা কমফোর্ট লাগে! বিশেষ করে ক্যামেরা আর লাইট ডিপার্টমেন্ট তো একটুও বিশ্রাম পায় না। পরিচালক আর অভিনেতা-অভিনেত্রী তো একটু স্পেস পায় যখন লাইট হয়। আসলে একটা মজার পরিবেশ রাখলে তাঁদেরও মনে হয় না যে তাঁরা একটা হেকটিক্ শেডিউলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এটাই চেষ্টা করি”।

অভিনেতা জয়দীপ কি এরকম ফ্লোর পান? পরিচালক-অভিনেতার সাফ জবাব, “আমি হাতে গোনা কয়েকজনের সঙ্গে কাজ করেছি। কৌশিকদা (গঙ্গোপাধ্যায়), কবি (ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী), কমলেশ্বর (মুখোপাধ্যায়) আর নতুন প্রজন্মের নির্ঝর (মিত্র) আর সম্প্রতি অনির্বাণ (ভট্টাচার্য)। আমার সৌভাগ্য, এঁরা প্রত্যেকেই ভাল মানুষ। এঁদের কারও এমন হয়নি যে ফ্লোরে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, মাৎস্যন্যায় চলছে। তবে আমি সবার সেটেই পরিচালক সত্তাটাকে বাইরে রেখে ঢুকি। এক আধবার সে উঁকি দিলেও আমি চট করে লুকিয়ে ফেলি”।

আরও পড়ুন: অনেক স্বপ্নের দিকে একসঙ্গে দৌড়চ্ছি: মনামী

বাংলা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে একটা অনুযোগ যে, এখানে রিসোর্সের খুব অভাব। বাজেট কম থাকায় যেমন কম দিনে শুট করতে হয় তেমনই স্বপ্নে লাগাম টানতে হয়। সব কিছু ‘কাঁটায় কাঁটায়’ মেপে করতে হয়। একাধিক কনটেন্ট বানানোর সৌজন্যে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ব্যস্ত পরিচালক জয়দীপ কিভাবে ‘কাঁটায় কাঁটায়’ মেপে পা ফেলেন প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমি একটা দীর্ঘ সময় টেলিভিশনের জন্য মেগা সিরিয়াল করেছি। ছবির কাজ করছি বছর দশেক আর ওটিটিতে কাজ করছি বছর পাঁচ-সাত। তার আগে আট-ন’বছর টেলিভিশন। মেগা সিরিয়ালে যে প্রেশারটা নিতে হয় সেটা সাংঘাতিক। এখন তো তাও ১৪ ঘণ্টা হয়েছে, আমাদের সময় ১৮-১৯ ঘণ্টা করে শুটিং করতে হত। তার সঙ্গে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ থাকত একে ছাড়তে হবে, তাকে ছাড়তে হবে, অমুক দিনে টেলিকাস্ট ধরাতে হবে! আমাকে তখন অনেকেই বলত এতদিন ধরে মেগা সিরিয়াল কিভাবে করিস? আমি প্রত্যেককেই বলতাম যে এটা আমার ফ্লোরে কী কী সমস্যা হতে পারে, কত রকমের সমস্যা হতে পারে, পরিচালককে কটা সিন শুট করতে হতে পারে, এইসব রিহার্সাল করার জায়গা। সেইটা আমার মোটিভেশনের জায়গা ছিল, তাই এখন কাজ করতে গিয়ে আমার কখনও মনে হয় না যে আমি প্রচন্ড প্রেসার নিয়ে ফেলছি। আমি জানি, যাই হোক না কেন আমি সামলে নেব। মেগা সিরিয়াল আমাকে এই কনফিডেন্সটা দিয়েছে”।

ওটিটি ধীরে ধীরে টেলিভিশনের মত ড্রয়িংরুমে ঢুকে পড়ায় পরিচালক বা শিল্পীদের একাধিক কাজ কি অনেক সহজে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে? প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছে। তাঁর উত্তর, “আমি এই জায়গাটায় লাকি যে এখনও পর্যন্ত আমি যে কাজ গুলো করেছি সেটার মূল্যায়ন সাধারণ দর্শকের কাছে খুব ভাল লাগার জায়গা থেকেই হয়েছে”।

বহুদিন পরে বাংলায় ফেলুদা, ব্যোমকেশের বাইরে কোনও গোয়েন্দা চরিত্র সত্যিই যদি পর্দায় প্রতিষ্ঠা পেয়ে থাকে তবে সেটা যে একেন বাবু সেটা অস্বীকার্য। এর অন্যতম কৃতিত্ব জয়দীপের। তবে তিনি সেটা মানতে নারাজ। মানুষ একেন চরিত্রটাকে ভালভাবে নেওয়ায় খুশি হলেও তাঁর বক্তব্য, “অনুভূতিটা প্রচন্ড আনন্দের। তবে এর পিছনে পদ্মনাভর (দাশগুপ্ত) একটা বড় অবদান রয়েছে। ও যেভাবে চরিত্রটাকে কথাবার্তা, আচার আচরণে বাঙালি করে তুলেছে এবং সংলাপ লিখেছে তা তুলনাহীন। আর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে অনির্বাণের (চক্রবর্তী) পারফরম্যান্স। মেলবন্ধনটা হয়ে যাওয়ার পর আমার যেটা সুবিধা হয়েছে সেটা হল, আমার এই ধরণের কমেডি কনটেন্ট নিয়ে কাজ করতে ভাল লাগে। এতে একটা থ্রিল আছে আবার কমেডিও আছে এবং সেটা একেবারেই মোটা দাগের নয়। কোনও ভাঁড়ামো নেই, পরিস্থিতি অনুযায়ী মজা গুলো তৈরি হতে থাকে। এই সিট-কম জঁরটা আমার খুব পছন্দের। তিনটে একেন হওয়ার পরে আমি একেন করা শুরু করেছিলাম। সেটা বড় পর্দা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার যাত্রাপথে মানুষের ভাল লেগেছে তাই রিজেক্ট করেননি, এই বিষয়টা আমাকে খুব তৃপ্তি দেয়”।

একেনের ক্ষেত্রে অনেকেই কিন্তু সিরিজ দেখার পরে প্রথমবার বইটা পড়েছেন। সেটা স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্ত নিজেই বলেছেন একাধিকবার। কিন্তু ‘কাঁটায় কাঁটায়’ সিরিজের ক্ষেত্রে ব্যাপার উলটো। ফেলুদা, ব্যোমকেশ-এর মতই নারায়ণ সান্যালের এই সব লেখাও বহুলপঠিত। এখানেই পরিচালকের চ্যালেঞ্জ। ‘স্পয়লার’ নিয়েই দেখতে বসা যাবে এমন এক থ্রিলারের চিত্রনাট্য লেখার সময়ে আলাদা কী প্রস্তুতি নিল টিম ‘কাঁটায় কাঁটায়’? “এক্ষেত্রে আমার চাপ ছিল যে গল্পটা প্রচন্ড পুরনো। যে সময় লেখা, তখন কোনও ল্যাপটপ নেই, মোবাইল নেই। আসলে কমিউনিকেশন নেই বলেই গল্পটা লেখা সম্ভব হয়েছে। মূল গল্পটা আগাথা ক্রিস্টির ‘দ্য মাউসট্র্যাপ’ থেকে অনুপ্রাণিত। এখানে মূল বিষয়টাই হল যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা। একটা টেলিফোন, সেটাও একটা সময়ের পরে খারাপ হয়ে যায়। এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতাতে ক্রাইমটা হচ্ছে সেটাই গল্পের প্রেক্ষাপটে। আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল গল্পটাকে আজকের দিনে এনে ফেলা। আমরা তো এটাকে পিরিয়ড পিস করে দেখাতে পারব না! এখনকার দিনে আনতে গেলে সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন ইন্টারনেট, মোবাইল সব আছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। পদ্মনাভ, আমি এবং বাকিরা সবাই মিলে বসে সেই জায়গাটা ঠিকঠাক করা হয়। এবারে পাহাড়ে আমরা জানি আজও অনেক সময় ইন্টারনেট কাজ করে না, নেটওয়ার্ক থাকে না। আমরা যখন এই বৃষ্টিবাদলের সময় গিয়ে সেরকম একটা জায়গায় বিপদের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি, তারপর কিন্তু কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। তার আগে পর্যন্ত গল্প সাজানোতেই ছিল চ্যালেঞ্জ”।

আরও পড়ুন: আনন্দ: ছক ভাঙা এক কষ্টিপাথর

তবে চ্যালেঞ্জ আরও ছিল। পরিচালকের মতে, “আরেকটা চ্যালেঞ্জ হল যে আজকের পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে এই গল্পটা মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য বা গল্পের মধ্যে আর কী দিলে সেটা আজকের মানুষের কাছেও একইভাবে গ্রহণযোগ্য করা যাবে বোঝা। কারণ, এখন তো কেউ স্ত্রীকে সোনার কাঁটা উপহার দেয় না! তাহলে কী দেবে এখন! এসব মাথাতে রাখতে হয়েছে”।

আর গল্পটা আগে থেকেই মানুষের জানা প্রসঙ্গে জয়দীপ বলছেন, “গল্পটাকে কোথা থেকে বলতে পারলে গল্পটা ঠিকঠাক বলা যাবে, সেটাও মাথায় রাখতে হয়েছে। এই জন্য আমরা ‘নাগচম্পা’ এবং ‘সোনার কাঁটা’ দুটোকে একসাথে করে বানিয়েছি। এতে আগের গল্পের রেশটা রাখাও হল। এখনকার মত করে কিছু ‘মার্ডার’ রাখা, আরও এখনকার মত জিনিস ঢোকানো হয়েছে”।

সিরিজে মূল চরিত্র প্রসন্ন কুমার বসু ওরফে পি.কে. বসুর ভূমিকায় থাকছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে একজন সর্বভারতীয় ‘স্টার’কে নিয়ে কাজ করা ঝক্কি তো বিরাট! হেসে পরিচালকের জবাব, “আমাদের অপু যেমন ছিল তেমনই আছে, কোনও বদল হয়নি। আমার আর অপুর বন্ধুত্ব ১৯৯২ সাল থেকে। ও যে স্টার, এটা বুঝতেই দেয় না। সর্বভারতীয় স্টারের ব্যাগেজটা অপু মুম্বইতেই রেখে আসে”।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে ব্যারিস্টার প্রসন্ন কুমার বসু প্রথমবার পর্দায় আসেন। নারায়ণ সান্যালের ‘নাগচম্পা’ উপন্যাসের অবলম্বনে ‘যদি জানতেম’ নামে ছবিতে পি.কে. বসু ছিলেন উত্তম কুমার। তবে চাঞ্চল্যকর তথ্য, তখনও ‘কাঁটা সিরিজ’ লেখাই শুরু করেননি নারায়ণ সান্যাল। এমনকি মহানায়ক অভিনীত ছবির সংলাপ লিখেছিলেন স্বয়ং নারায়ণ। এরপরে লেখা শুরু হয় কাঁটা সিরিজ। সিরিজের প্রথম গল্প ‘সোনার কাঁটা”। তাই ‘সোনার কাঁটা’ বানাতে গিয়ে ‘রেফারেন্স টু দ্য কনটেক্সট্’ হিসেবে ‘নাগচম্পা’র ব্যবহার পরিচালকের মাস্টারস্ট্রোক হতে পারে।

আরও পড়ুন: বাংলা ছবিতে এই রকমের পারফরম্যান্স সচরাচর আমরা দেখি না

খুব কাছ থেকে চলচ্চিত্র বিষয়টাকে দেখে নারায়ণ সান্যালের ছবির প্রয়োজনে গল্পের টুকটাক বদল সম্বন্ধে ধারণা হয়ে গিয়েছিল। নিজেই বলেছেন, “চিত্রস্বত্ব বিক্রয় করার সঙ্গে জ্যান্ত-পাঁঠা বিক্রয়ের পার্থক্য নেই। অতঃপর সেই অবোলা জীবটিকে মাথার দিকে কাটা হবে অথবা ল্যাজের দিকে, তা স্থির করার দায়িত্ব চিত্র-পরিচালকের”।

কিন্তু সমসাময়িক করার জন্য যে পরিবর্তন গুলো করা হয়েছে তাতে বাঙালির রক্ষণশীলতা যদি ধাক্কা খায়? এর আগে ফেলুদার হাতে আধুনিক গ্যাজেট দিয়ে এবং গল্পে নারী চরিত্র ঢোকানো নিয়ে আপামর বাঙালির কাছে ধিকৃত হয়েছেন এক পরিচালক। একেবারেই চিন্তা আসেনি? জয়দীপ পরিষ্কার করে দিলেন, “আমরা কিন্তু গল্পটা বিকৃত করিনি। নতুন কোনও চরিত্রও ঢোকাইনি। দু-একটা চরিত্র যারা গল্পেই আছে এবং গল্পটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে, আমরা তাদের এক্সটেনশন করেছি”।

একটা কথা বলতেই হয়, নারায়ণ সান্যাল প্রসন্ন কুমার বসুকে তৈরি করেছেন দুই গোয়েন্দাকে স্মরণে রেখে। চরিত্রটার গঠন আর্লে স্ট্যানলি গার্ডনার-এর বিখ্যাত প্যেরী মেসনকে মাথায় রেখে। আর মননে রয়েছে ব্যোমকেশ বক্সীর অভাব পূরণ। তাই, প্রসন্ন কুমার বসুকে নারায়ণ উৎসর্গ করে দিয়েছেন তাঁর প্রাণের সত্যান্বেষী ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ মশাইকে।

১০ এপিসোডের এই টানটান সিরিজে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, পায়েল সরকার, সুব্রত দত্ত, মীর, কিঞ্জল নন্দ, রেচেল হোয়াইট এবং পরিচালক জয়দীপ নিজে।

আরও পড়ুন: অস্কার কর্তৃপক্ষ বুদ্ধদার উপরে হওয়া কাজগুলো সংরক্ষণ করতে চায়: সোহিনী

অ্যান্টনি হোপের ‘দ্য প্রিজনার অব জেন্দা’ পড়া থাকা সত্ত্বেও নারায়ণ সান্যাল যেমন রুদ্ধশ্বাসে শেষ করেছিলেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঝিন্দের বন্দী’, তেমন করেই পাঠকেরা ব্যোমকেশ মুখস্থ থাকলেও প্রসন্ন চিত্তে আপন করেছেন শরদিন্দুর ভাবশিষ্য নারায়ণের পি.কে. বসুকে।

আগামী ১৫ অগাস্ট থেকেই জি ফাইভে শুরু হবে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কাঁটায় কাঁটায়’ সিরিজের স্ট্রিমিং। একইভাবে ব্যোমকেশ বক্সীর দর্শক এবার আপন করে নেবেন তো ব্যারিস্টার পি.কে. বসুকে? সেটা সময় বলবে।

Loading


Share It