বন্ধ হল ‘কু’ অ্যাপ, হলুদ পাখি উড়ল সারাজীবনের মত

Share It

সেই যে হলুদ পাখি…কিন্তু সেটা এখন কোন ডালে বসবে কেউ জানে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইটারকে (বর্তমান X) টেক্কা দিতে ২০২০ তে ভারতীয় একটি মাইক্রোব্লগিং অ্যাপ ‘কু’ (Koo) চালু করেছিলেন অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ এবং ময়াঙ্ক বিদ্বতকা। লোগোতে রাখা হয়েছিল হলুদ একটা পাখি। আজ সেই হলুদ পাখির চিরবিদায়। কারণ সুপরিচালনার অভাব এবং খরচে লাগাম টানতে না পারায় বন্ধ হল ‘কু’।

আরও পড়ুন: উঠল বেস প্রাইসের ১২ শতাংশ, ডাহা ফেল ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম

‘কু’ এর আগে গত অর্থবর্ষে অনেক কর্মীকে ছাঁটাই করে। তাতেও খরচে লাগাম টানতে পারা যায়নি বলেই খবর। শুরুতে একটু খুঁড়িয়ে চললেও তারপর একাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বকে অ্যাপে অনবোর্ড করতে পারায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছিল লাফিয়ে লাফিয়ে। সর্বোপরি ভারতে তৈরি হওয়ার ফলে কেন্দ্র সরকার ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে এই অ্যাপকে। প্রধানমন্ত্রী মোদি থেকে বিরাট কোহলি সকলেই আসেন অ্যাপে। প্রচুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যোগ দেন ‘কু’তে। কেন্দ্রের মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের প্রায় ২৫ লক্ষ কু ফলোয়ার চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে।

সোশ্যাল মিডিয়ার স্টেকহোল্ডার হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম, বিজ্ঞাপনদাতা, ইউজার এবং ক্রিয়েটর। প্ল্যাটফর্ম সবসময় জেনুইন ইউজার চায়, বিজ্ঞাপনদাতারা জেনুইন ইউজারের কাছেই পৌঁছাতে চায়, একজন ইউজার আরেকজন জেনুইন ইউজারের সঙ্গেই যুক্ত হতে চায় এবং ক্রিয়েটররাও জেনুইন ইউজারদের ফিডব্যাকই চায়। এই দিকটা ভেবেই সেল্ফ ভেরিফিকেশনের ব্যবস্থা চালু ছিল একমাত্র কু অ্যাপে। ই-মেইল লগ ইনে যেটা সম্ভব হয় না, ফোন নম্বর দিয়ে লগ ইন করার ফলে সেই ফেক ইউজারের সংখ্যা নগণ্যস্তরে নামিয়ে আনতে পেরেছিল কু।

আরও পড়ুন: হোর্ডিং অপসারণ তরজা, মমতার সঙ্গে বৈঠক চায় ফোরাম

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস ছিলেন অপ্রমেয়। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, “মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলিং ব্যাপারটাকে কোর্সের মধ্যে রাখা উচিত। একজনের বুঝতে পারা উচিত যে তাঁর স্ট্রং পয়েন্ট কোনটা এবং টার্গেট কোন শ্রেণি। এইটা বুঝে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার লাভটা নেওয়া যাবে”।

Loading


Share It